সুদানের আবেই জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বকালে সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত মাসুদ রানাকে নাটোরের লালপুরে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে মাসুদের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের স্বজনরা। শহীদ মাসুদকে এক পলক দেখতে তার বাড়িতে আসেন বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে লালপুরের বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে মাসুদ রানাকে দাফন করা হয়। ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে মাসুদের মরদেহটি সেনাবাহিনীর বহনকারী হেলিকপ্টার করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। এরপর তার নিজ বাড়িতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় স্বজনদের আর্তনাদে আকাশ ভারি হয়ে উঠে। পরে সেনাবাহিনী শহীদ কর্পোরাল মাসুদ রানার প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
শহীদ মাসুদ রানা নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। পরিবারে মা, স্ত্রী ও আমেনা নামে আট বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার আগে নিহত মাসুদ রানা যশোর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। মাসুদ রানাসহ তারা তিন ভাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাসুদ রানা সবার বড়।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। আমরা শোকাহত এবং শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এফপি/জেএস