উপজেলাবাসী ও চরাঞ্চলের প্রায় ত লক্ষ সাধারন মানুষের একমাত্র ভরসা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে সকল ধরনের অবকাঠামোগত,অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবার মান কিছুটা উন্নতি হলেও ডাক্তার সংকট পিছু ছাড়চ্ছে না। দীর্ঘ দিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৪ জন ডাক্তার দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা।
দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত ৪ জন ডাক্তার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কাগজে-কলমে ১৫ জন ডাক্তার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কর্মরত থাকলেও ৪ জন ডাক্তার ও ৩ জন কনসালটেন্ট দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিদিন চরাঞ্চলের হতদরিদ্র অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল রোগী ঢাকা-মানিকগঞ্জ যেতে না পেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে। কিন্তু ডাক্তার সংকটের ফলে প্রতিদিন শতশত নারী-পুরুষ, শিশু রোগি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১ বছর যাবৎ এই হাসপাতালে পোস্টিংকৃত ডাক্তার মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন, মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ২ জন, পুলিশ লাইনে ১ জন, ঢাকা মেডিকেলে ২, সাভারে ১ জন ডাক্তার প্রেষনে (ডিপেটেশনে) রয়েছে। রোগিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হলেও ৮ জন ডাক্তার নিয়োমিত বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি দৌলতপুর থেকে উত্তোলন করছে। দৌলতপুর উপজেলাবাসী ও চরাঞ্চলের হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু রোগি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না জানান, আমি জুলাই আগস্টের পরে এসেছি। নতুন এসে দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের সিজারিংয়ের সেবা চালু করেছি। ৪ জন ডাক্তার দিয়ে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রটিতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামোগত, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্তেও জনবল সংকট থাকায় ১০০% সেবা দিতে পারছিনা।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমি যোগদান করে চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের এবং প্রেষনে (ডিপেটেশন) থাকা ৮ জন ডাক্তারকে আমার হাসপাতালে দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জন মহোদয়কে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
এফপি/এমআই