কুড়িগ্রামে নৌ-ডাকাতি প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টার দিকে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানার রমনা নৌ-বন্দর ফেরিঘাটে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা ও পুলিশ সুপার মাহাফুজুর রহমানের উপস্থিতিতে এ সভায় চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদীসহ কুড়িগ্রাম জেলার সকল নদী সমূহে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
এসময় স্থানীয় জনসাধারণ- নৌ পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, নৌ পুলিশের জন্য একটি শক্তিশালী স্পিডবোট বরাদ্দ, চিলমারী জোড়গাছ বাজারে হাটের দিন করে পুলিশি টহল বৃদ্ধি, ডাকাত দলকে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দাবী উপস্থাপন করেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, উপরোক্ত সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ শক্তিদিয়ে কাজ করে যাবে। সেই সাথে তিনি অত্র চিলমারী উপজেলার স্থানীয় এলাকাবাসীর সহাযোগীতা কামনা করেন। সকলের সহযোগীতায় এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে লক্ষ্যে সকলকে একাগ্রচিত্তে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন। পুলিশ বাহিনী তাদের দায়িত্ব যথারীতি পালন করে যাবে মর্মে জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, বিগত দিনে যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেটা সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক। ভবিষ্যতে চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে এ রকম ডাকাতির ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি আরো বলেন, জনসাধারণ চাইলে সব কিছুই করা সম্ভব। জনগণ যদি আমাদের সহায়তা করে তাহলে ব্রহ্মপুত্র নদে আর কোন ডাকাতি হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী সার্কেল এবং চলতি দায়িত্বে উলিপুর, চিলমারী সার্কেল) মোজাম্মেল হক, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক, ডিআইও-১ আলমগীর হোসেন, চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশাহেদ খান, ঢুষমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম, ইনচার্জ চিলমারী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইমতিয়াজ কবির, চিলমারী উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিন শিরিন সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সদস্য আব্দুর রহমানসহ চিলমারী উপজেলার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ।
এফপি/এমআই