শরীয়তপুর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, দখলদারিত্ব ও বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাওয়া কৃত্তিনাশা- খাদ্য গুদাম খাল এবং আংগারিয়া-ডামুড্যা খালে ব্যাপক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, খনন ও দখলমুক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম।
উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন, “খাল বাঁচলে শহর বাঁচবে। এ দুটি খাল শরীয়তপুরের পরিবেশ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই খালগুলোকে অবৈধ দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা আমাদের অগ্রাধিকার।” তিনি আরও বলেন, “শহরকে জলাবদ্ধতা, দুর্গন্ধ ও পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত করতে এ উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাল উদ্ধারের কাজ অব্যাহত থাকবে।”
প্রথম ধাপে খালের ভাসমান বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক ও পলিথিন অপসারণের কাজ চলছে। পরবর্তীতে খালের দুই পাশে সীমানা নির্ধারণ করে যেসব স্থাপনা খালের জায়গা দখল করে আছে, সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। পাশাপাশি খালের প্রকৃত গভীরতা ও প্রস্থ পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় খননকাজ চলবে।
শরীয়তপুর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদ হোসেন বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি পরিচ্ছন্ন, দখলমুক্ত ও আধুনিক শহর গড়ার জন্য। এই দুটি খাল উদ্ধার হলে শহরের নান্দনিকতা বাড়বে, নাগরিকদের জীবনমান উন্নত হবে এবং কৃষিক্ষেত্রে সেচব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় দুই খালের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা, দখলমুক্তকরণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে পৌরসভা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলোরা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাফিস এলাহী।
এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পৌর কাউন্সিলর, সাংবাদিক ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এ খালগুলো বহু বছর ধরে দখল আর আবর্জনায় ভরাট হয়ে পড়ে ছিল। আজ এ উদ্যোগ শুরু হওয়ায় আমরা আশাবাদী যে শহরের পুরোনো সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।”
এফপি/অ