কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে রোপা আমন মৌসুমে আগাম ধান চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। ব্রি-৭৫ জাতের ধান চাষ করে আগাম ঘরে তুলতে পেরে একদিকে যেমন খাদ্য সয়ংসম্পন্ন হচ্ছেন কৃষকরা অপরদিকে আগাম ধান কর্তনের ফলে দুই ফসলী জমিতে ৩ ফসলে রূপান্তর করতে পারবেন তারা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর উপজেলার ৬১৫ হেক্টর জমিতে ব্রি-৭৫ জাতের ধান চাষ হয়েছে। এসব ধান ইতোমধ্যে কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে।
এছাড়াও আগাম ধান কেটে ঘরে তুলে কৃষকরা ওই জমিতে সরিষা, ভুট্টা, গমসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করতে পারবেন। ফলে বাড়তি আয়ের সুযোগ হবে কৃষকদের। উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের হাউরিটারী এলাকার কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চলতি আমন মৌসুমে এক একর জমিতে ব্রি-৭৫ জাতের আগাম ধানের চাষ করেছেন। এছাড়াও ওই এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম চাষ করেছেন এক বিঘা জমিতে। তারা জানান ফলন খুব ভালো হওয়ায় তারা খুশি।
বিঘা প্রতি ১৫-২০ মণ পর্যন্ত ধান হচ্ছে বলেও জানান তারা। কৃষক তাজুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করেছেন এবং মুছা মামুন করেছেন দুই বিঘা জমিতে। তারা জানান আগাম জাতের ধান চাষের ফলে তারা আগাম ঘরে তুলতে পারছেন। এতে করে দামও ভালো পাবেন বলে আশা তাদের। এতে করে পারিবারিকভাবে তেল ও সবজির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তারা।
সোমবার দুপুরে এসব রোপা আমনের নমুনা শস্য কর্তনের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষন) তানভির আহমেদ সরকার, উপ-পরিচালক (উদ্যান) মনিরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহরিয়ার হোসেন, শ্রিপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আক্তার জামিল, রুহুল আমিন প্রমুখ।
উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই জাতের ধান চাষে উৎসাহী করতে, ফলন ভালো হওয়ার জন্য কৃষকদের মাঝে পরামর্শসহ নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এই ধান চাষের ফলে কৃষকরা ঘরে আগাম ধান তোলার পাশাপাশি দুই ফসলী জমিতে ৩ ফসল চাষ করতে পারছেন। এতে করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।
এফপি/অআ