শিরোনাম: |
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহিম মিয়া।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে পৌরশহরের মীরগঞ্জ বাজারস্থ একটি মিলনায়তনে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ দাবি করেন আবদুর রহিম মিয়া।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা একেবারেই মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি কোনো ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করিনি কিংবা কাউকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেইনি।'
তিনি আরও বলেন, 'অভিযোগে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুজাম্মেল হক ও তৎকালীন গভর্নিংবডি। আমি তখন দায়িত্বে ছিলাম না। পরবর্তীতে তাঁরা যখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন, আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী বেতন সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি।'
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করেন, 'আমি কোনো নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নই, কাউকে অর্থ দেইনি বা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পরিকল্পিতভাবে আমার মানহানি ঘটানোর উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে কলেজের প্রভাষক গোলক চন্দ্র কর্মকার, প্রভাষক হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রভাষক আতাউর রহমান, প্রভাষক এটিএম আসাদুজ্জামান, প্রভাষক উজ্জ্বল হোসেন, প্রভাষক বিউটি বেগম, সহকারী প্রধান আব্দুর রশিদ, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক প্রভাতী রানী, সহকারী শিক্ষক রিনা বেগম, সহকারী শিক্ষক নুরুল হুদা, সহকারী শিক্ষক শামীম আহমেদ, সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, সহকারী শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মাওলানা সাইফুল্লাহ হেলালী, সহকারী শিক্ষক শাহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকসহ শিক্ষক-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১১ অক্টোবর) সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুজাম্মেল হক এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, চন্ডিপুর ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহিম মিয়া ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে ৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছেন এবং এ প্রক্রিয়ায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই রোববার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহিম মিয়া।
এফপি/অআ