শিরোনাম: |
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এ ক্যাম্পেইন, যেখানে ৯ থেকে ১৫ বছরের শিশুকে বিনামূল্যে দেয়া হবে এ টিকা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের শিশু কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতা মূলক প্রচার কার্যক্রম “শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন” বিষয়ক জেলা পর্যায়ে পরামর্শ মূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: আ: মান্নান।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন,টাইফয়োড টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। সরকারের এই ক্যাম্পেইন শুধু শিশুদের জীবন রক্ষা নয়, দীর্ঘমেয়াদে টাইফয়েড জনিত অসুস্থতা ও মৃত্যুহার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্মরাই এ দেশের নেতৃত্ব দিবে তাই তাদের সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠতে হলে এ টিকা দেওয়া খুবই প্রয়োজন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সিভিল সার্জনডা: মোহাম্মদুল হক,জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো: আব্দুছ ছাত্তার, সিএস অফিসের এমও ডা কনিণীকা দস্তিদার, প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান বক্তব্য রাখেন। এ সময় চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, শিশুদের সুরক্ষায় আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরুহবে। ইপিআই কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত এ ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ভরাপেটে এক ডোজ করে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে।
এছাড়া টিকানিতোধীবঢ়র.মড়া.নফ এই লিংকে রেজিস্ট্রেশন করার আহবান জানানো হয় এবং কক্সবাজারে জেলায় সর্বমোট ২,৯৩৬টি টিকাদান কেন্দ্রে ৯ লক্ষ ৬ হাজার ৫৫৪ জনশিশুকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানানো হয় সভায়। সভায় আরো জানানো হয়, টিকাদান ক্ষেত্রে কোনপ্রকার গুজব ছড়াতেনা পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবেএবং এ বিষয়ে প্রচারণা মূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।
এফপি/অআ