রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার’ বিচার নিশ্চিত ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার (পোষ্য কোটা) দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এই কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এতে পাঠদানের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান নেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার প্রশাসনের সাথে সভা করেও সমাধান না হওয়ায় তাঁরা এই কর্মবিরতি পালন করছেন ৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব উপ-উপাচার্যকে লাঞ্ছনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর আগেও নামধারী কিছু ছাত্র আমাদের সহকর্মীদের আটকে রেখেছিল। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাইনি। তাই আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য আমাদের সাথে বসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা আমাদের দাবির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। আমরা আজ আবার বিভিন্ন দপ্তরের সাথে কথা বলব। আজও আমাদের শাটডাউন বহাল আছে। পরবর্তী কর্মসূচি সবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে আজ বুধবার বেলা ১১টায় ‘শাটডাউনের’ প্রতিবাদে মানববন্ধন করার কথা রয়েছে শাখা ছাত্রশিবিরের। এর আগে এর আগে ‘পোষ্য কোটা’ পুনর্বহালের প্রতিবাদে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আন্দোলনের মুখে ঐদিন রাতেই পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে প্রশাসন এবং রোববার সিন্ডিকেটের সভায়ও তা স্থগিত রাখা হয়।
এরপর শিক্ষক ‘লাঞ্ছিতের বিচার’ এবং ‘পোষ্য কোটা’ পুনর্বহালের দাবিতে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে অফিসার্স সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেয়। গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
এফপি/অআ