মহেশখালীতে পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি আবু সৈয়দ (২৫) গ্রেফতার হয়েছে। তার কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফ উদ্দিন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে বান্দরবানের লামা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আবু সৈয়দকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মহেশখালীর ইউনুসখালীতে নিজ বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশীয় একনালা বন্দুক, দুটি এলজি ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা ১০ মিনিটে কালারমারছড়া ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়ায় কোহেলিয়া নদীর ব্রিজ এলাকায় টহলরত পুলিশ দলের ওপর সশস্ত্র হামলা হয়। এ সময় মহেশখালী থানার এএসআই সেলিম মিয়া, কনস্টেবল মাসুদ হোসেন ও সোহেল রানা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।পরদিন মহেশখালী থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সুপার সাইফ উদ্দিন বলেন, আবু সৈয়দ এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। সে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
গ্রেফতার হওয়া আবু সৈয়দ মহেশখালী উপজেলার ইউনুসখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলী মিয়ার ছেলে।
এর আগে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযানে ৮ জনকে আটক করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে পুলিশের উপর হামলার মামলাসহ ১১ টি মামলার এজাহারনামীয় শহিদুল ইসলাম রিপন (৩৫) নামের একজনের কাছ থেকে ১টি দেশীয় তৈরী এলজি উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
গত শুক্রবার ও শনিবার (১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এই অভিযান চালানো হয়। অপর আটককৃতরা হলেন মো. হাবিব (২৯) পিতা-আলী আজগর, জসিম উদ্দিন (৩২) পিতা-মৃত আকতার হোসেন, ইকবাল ফারুক (৩৯) পিতা-উকিল আহমদ, মোঃ শাহিন (২৩) পিতা-বাবুল করিম, মোঃ আকাশ (২৩) পিতা-নুরুল আবছার, মো. আজিজ (২৩) পিতা- মোহাম্মদ সৈয়দ, কালা মিয়া (২৩) পিতা-আব্দুস সালাম।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, মহেশখালীতে ডিউটিরত পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক অভিযানে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রিপন নামের একজনের হেফাজত থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
এফপি/এমআই