ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা-ভাঙচুরের সময় সরাসরি লাইভ সম্প্রচারের কাজে থাকা স্থানীয় সাংবাদিক সরোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এছাড়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক মাসুদুর রহমান তরুণ ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক ইয়াকুব আলী তুহিনসহ আরও কয়েকজন সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে হলরুমসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে ভাঙ্গা থানায়ও হামলা চালানো হয়। এ সময় ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা আটকা পড়েন। হামলাকারীরা থানায় রাখা পুলিশের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তবে আধা ঘণ্টারও কম সময় এই তাণ্ডব চালানোর পর তারা দ্রুত সরে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের গেজেট বাতিলের দাবিতে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ রোববার থেকে তিন দিনের সকাল-সন্ধ্যা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। সোমবার সকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। উপজেলা পরিষদ এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবরোধে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে ভাঙ্গার আলগীতে হঠাৎ বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিলে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে অবরোধকারীরা ভাঙ্গা থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা প্রতিহত করে। এরপর আরও বৃহৎ আকারে অবরোধে যোগ দেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকলেও কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল না। তবে দুপুর থেকে পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে যায়। এ সময় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, আনসার ও সাজোয়া যান মোতায়েন করা হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এফপি/রাজ