মোংলা-রামপাল আসন-৩ সহ বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন ৪টি পুর্নবহাল রাখার দাবিতে তৃতীয় দফায় জেলার জুড়ে হরতাল পালন করছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তবে এর কোন প্রভাবই পরেনী মোংলা সমুদ্র বন্দরে। আগানম-নির্গমন করছে বানিজ্যিক জাহাজ, খালাস হচ্ছে দেশ-বিদেশী পন্য। সড়ক পথে পন্য পরিবহনের কিছুটা ব্যাহত হলেও নৌপথ পথে চলছে যথা নিয়মে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে ৫ দিনের কর্মসূচির পর চলতি সপ্তাহে ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে মোংলা ও বাগেরহাট জেলার সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা। এর মধ্যে রবিবার চলছিল সরকারি-বেসরকারি অফিস ঘেরাও, সোমবার সকাল-সন্ধ্যা, মঙ্গল ও বুধবার অর্ধ দিবস হরতালের কর্মসূচি চলবে।
সেই মোতাবেক (১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে সড়ক-মহাসড়কে তিনদিন ব্যাপী হরতাল শুরু হয়। তবে মোংলা সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বহিঃনোঙ্গর, হারবাড়িয়া ও জেটি এলাকায় ৯টি পন্য বোঝাই বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। জাহাজ থেকে খালাস-বোঝাই হচ্ছে আমদানী-রফতানীকৃত পন্য। সড়ক পথের বিভিন্ন স্থানে হরতাল সমর্থনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করলেও নৌপথে পন্য আনা-নেয়া চলছে যথা নিয়োমে। সোমবার আরো একটি কয়লা বোঝাই জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করার কথা রয়েছে। তবে মোংলা বাসস্টপ থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে দূরপাল্লাসহ কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি, হরতাল-আন্দোলন চাই না কিন্ত বাগেরহাট জেলার ৪টি আসন পুর্নবহাল চাওয়া এটি তাদের ন্যায্য অধিকার। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সাথে একমত পোষণও করছে তারা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (সদস্য অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন বলেন, বন্দরকে সচল রাখতে ও ব্যাবসায়ীদের পন্য আমদানী-রফতানীর সুবিধার্থে পরিকল্পনা অনুযায়ী জাহাজ ও জেটি এলাকায় কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। কারণ দক্ষিণাঞ্চলের চালিকাশক্তি হচ্ছে মোংলা বন্দর।
এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এ বন্দরকে ঘিরে। এছাড়া সরকার এই বন্দর দিয়ে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে, সুতারং যে কোন পদ্ধতিতে বন্দরের কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে।
এফপি/রাজ