কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটিরচর এলাকায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুরে দেখা দিয়েছে দুধকুমার নদের প্রবল ভাঙ্গন। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসভিটাসহ নানা স্থাপনা। ভাঙ্গনে নিঃস্ব হচ্ছেন ওই এলাকার শতশত পরিবার। ঠাঁই হারিয়ে দিশাহারা পরিবারগুলোর দাবি দ্রুত ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পথে বসতে হবে তাদের। এছাড়াও ভাঙ্গন আতঙ্কে দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ।
ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বন্ধু বাজার সংলগ্ন নদী তীরে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় মানববন্ধন করেছেন ওই ইউনিয়নের শতাধিক মানুষ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিনারুল ইসলাম, সদস্য সচিব সাইফুর রহমান, সাবেক সভাপতি সেকেন্দার আলী, ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন, স্থানীয় আজিজুল হক, কন্ট্রাক্টর, মহির গোয়াল, আব্দুল খালেক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জানান, প্রতিনিয়ত যেভাবে দুধকুমার নদীর তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এভাবে আর কয়েকদিন ভাঙলে কুটির চর এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। এতে করে শতশত পরিবার স্ত্রী সন্তান নিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিনারুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙ্গনের ফলে পার্শ্ববতী বন্ধু বাজার, পাশেই একটি মসজিদ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ী মাদরাসা রয়েছে। এগুলো অতি তাড়াতাড়ি নদীগর্ভে চলে যাবে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।
এফপি/লিংকন/রাজ