স্বামীর নির্যাতনে চাঁদনী (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা ইসলামীয়া কলেজের পাশে এ ঘটনাটি ঘঠে। তবে গৃহবধূর মৃত্যুর পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাসুদ ও চাঁদনী দম্পত্তি সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা ইসলামীয়া কলেজ এলাকার বাসিন্দা প্যারিসের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত। মাসুদ পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। প্রায়ই তাদের সংসারে কলহ বেঁধে থাকত। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলহ বিরোধ বাঁধে। একপর্যায়ে মাসুদ রাগ হয়ে তার স্ত্রীকে কিল ও ঘুষি মারে। এতে করে স্ত্রী চাঁদনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চাঁদনীর ভাই হৃদয় জানায়, ঘটনার সময় সে বাড়িতে অবস্থান করছিল। সামান্য ঘটনা নিয়ে প্রায়ই তার বোনকে মারধর করত স্বামী মাসুদ। আজও একই ঘটনা। তাকে মেয়ে আহত করার পর থেকে সে বাড়ি থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে তাকে আর ওই এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হাই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁদনীর ভাইয়ের কাছ থেকে স্বামী মাসুদ কয়েকদিন আগে ২০০ টাকা ধার নেয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই পাওনা টাকার চাওয়ার জন্য হৃদয় মাসুদ ও চাঁদনী দম্পতির বাড়িতে যায়। পাওনা টাকা চাওয়া মাত্র হাত দিয়ে মাসুদ তার স্ত্রীর ডান চোয়ালে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁদনীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী মাসুদ পলাতক রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
এফপি/রাজ