চুরির উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে কয়েকজন। হঠাৎ মালিকের ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখে ফেলেন সবাইকে। তাতে পালিয়ে না গিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় মালিককে। আহত ঘরের মালিক জ্ঞান হারিয়ে ফেললে পালিয়ে যায় সবাই।
আহত অবস্থায় সোমবার সকালে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তারে ঢাকায় পাঠানো হয়। এর আগে রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তমরদ্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড উত্তর বেজুগালিয়া মজুমদার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বসন্ত কুমার মজুমদার উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড উত্তর বেজুগালিয়া মজৃমদার পাড়া গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বসন্ত কুমার মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির পাশে মুদি দোকানের ব্যবসা করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মত মালিক বসন্ত কুমার মজুমদার দোকান বন্ধ করে ভিতরে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে সিঁদ কেটে একদল চোর দোকান ঘরে প্রবেশ করে। দোকানের মালামাল লুট করার সময় তার ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তিনি চোরদের দেখে ফেলায় তারা দোকানের মালিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে তারা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তার অবস্থা সংকাটপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে দ্রæত ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আহতের ছেলে ডাক্তার রাজিব চন্দ্র মজুমদার বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কারণে বাবার হাতের কব্জি কেটে গেছে। হাতের অধিকাংশ রগ কেটে গেছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এছাড়া মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাবাকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজমল হুদা বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/রাজ