গাজীপুরের টঙ্গীতে ফেসবুকের মাধ্যমে হানিট্রাপের ফাঁদে ফেলে প্রেমিককে ডেকে এনে অপহরণ করে মারধর ও দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এসময় হানিট্রাপ চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে টঙ্গীর গোপালপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার তিনমারী চন্দনপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে আশামনি (২৬), গাজীপুরের পূর্ব চান্দনা এলাকার শাহজাহানের ছেলে শেখ ফরিদ (২৬), ঢাকার মিরপুরের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪৫), গাজীপুরের কাপাসিয়ার ফুলবাড়িয়া এলাকার শহিদুল্লার ছেলে জাবেদ হোসেন সবুজ (৫০), ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার সজনকান্দা গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়া (৪৫), ভোলা জেলার দৌলতখান থানার জয়নগর সরদার বাড়ি গ্রামের আব্দুল বাকির ছেলে মো. বশির (৩৫)।
এই মামলায় পলাতক রয়েছেন আসামি টাঙ্গাইলের সাবিনা (৪৫)। তারা সবাই টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার রাজনগর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী সুজন বেপারী (৩৮) ঢাকার লালবাগ থানার নবাবগঞ্জে বসবাস করেন। গত এক মাস আগে আসামি সাবিনার সাথে বাদির ফেসবুকে প্রেম হয়। প্রেমের সূত্র ধরে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বাদি টঙ্গীর স্টেশন রোডে প্রেমিকা সাবিনার সাথে দেখা করতে আসলে বিবাদীরা তাকে অপহরণ করে গোপালপুর এলাকায় আশামনির ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে সাথে থাকা ৩ হাজার টাকা নেয়। এরপর তারা সুজনকে মারধর করে তার কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এই সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ৬ আসামিদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় সাবিনা কৌশলে পালিয়ে যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অপর একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এফপি/রাজ