দরিদ্র মানুষকে শোষণ করা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের আইন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল সাদ্দাম বাজারে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পতিত সরকারের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা প্রেতাত্মারা ঘোড়াশাল-পলাশের দরিদ্র মানুষের উপর জুলুম-অত্যাচার করেছে। দুর্নীতিবাজ বিআইডব্লিউটিএ গত ১৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার বালু লুটপাট-দুর্নীতি করেছে। তারা আজকে ঘোড়াশাল-পলাশে এসে আইন দেখাতে চায়, কিসের আইন? দরিদ্র মানুষদের শোষণ করা কি কোন দেশের আইন হতে পারে। তারা নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে ঘুষ না পেয়ে অন্যায়ভাবে তাদেরকে উচ্ছেদ করেছে। এর মাধ্যমে তাদের সৎ আয়ের পথ রুদ্ধ করে অনাহারে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এ ধরণের কার্যক্রম বর্তমান সরকারকে বিপাকে ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. মঈন খান আরও বলেন, গরীব মানুষ পরের দিন কী খাবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাদেরকে উচ্ছেদ করা হলো এখন তাদের পরিবারের কী হবে? তারা তো ক্ষুদ্র দোকানদার। ব্যবসা করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু তাদেরকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে বাইপাস করে ঢাকা থেকে বিআইডব্লিউটিএর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এটি করেছে। বিগত ১৫ বছরে বিআইডব্লিউটিএর আইন কোথায় ছিল? অবিলম্বে ভেঙে ফেলা দোকান মেরামত করে ভু্ক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এর আগে দিনব্যাপী শীতলক্ষ্যা নদীর পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায় বিআইডব্লিউটিএ। এতে অন্তত তিন শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
এফপি/এমআই