আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় হবে নারী এশিয়া কাপ। সোমবার ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের জমকালো ড্র হয়ে গেলো সিডনির অপেরা হাউজে। নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরে ট্রফি মঞ্চের মাঝে রেখে এই ড্র’তে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশের স্থান হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীনের গ্রুপে। ‘বি’ গ্রুপে অন্য দুটি দেশ হলো উজবেকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া।
চীন এই টুর্নামেন্টের ৯বারের চ্যাম্পিয়ন। উত্তর কোরিয়াও কম যাচ্ছে না। তিনবারের ট্রফি জেতা দল তারা। শুধু উজবেকিস্তানের তেমন সাফল্য নেই। তবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তিন দলই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ (১২৮), উজবেকিস্তান(৫১), চীন (১৭) ও উত্তর কোরিয়া(৯)। তাই ঋতুপর্ণাদের জন্য কঠিন এক টুর্নামেন্ট অপেক্ষা করছে।
‘এ’ গ্রুপে পড়েছে ইরান (৬৮), ফিলিপাইন (৪১), দক্ষিণ কোরিয়া (২১) ও অস্ট্রেলিয়া(১৫)। ‘সি’ গ্রুপে ভারত (৬৮), চাইনিজ তাইপে(৪২), ভিয়েতনাম(৩৭) ও জাপান(৭)।
স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। তাদের ছাড়াই জমকালো ড্র হয়ে গেছে।
১৯৭৫ সালে শুরু হওয়া এশিয়ান কাপের ২৩তম আসরে বাংলাদেশ খেলবে। ২০২৬ সালের ১ মার্চ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরের পাঁচটি ভেন্যুতে হবে নারী এশিয়ান কাপ। সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়াম, গোল্ড কোস্টের গোল্ড কোস্ট স্টেডিয়াম ও পার্থের রেকটাঙ্গুলার স্টেডিয়াম ও পার্থ স্টেডিয়ামে হবে ১২ দলের লড়াই । এর ফরম্যাটটা এমন যে স্বাগতিক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সরাসরি খেলবে। ২০২২ সালে সর্বশেষ নারী এশিয়ান কাপের ফলের ভিত্তিতে সুযোগ পেয়েছে তিনটি দেশ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান সরাসরি খেলবে।
বাছাইপর্ব পেরিয়ে সুযোগ পেয়েছে আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন। ২০২৬ এশিয়ান কাপে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে প্রথম দল হিসেবে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ।
আয়োজক হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ গ্রুপের প্রথম দল। তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রথম পর্বে অংশ নেবে ১২ দল। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল ও সেরা তৃতীয় স্থান পাওয়া দুই দলকে নিয়ে হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। অস্ট্রেলিয়ার তিন শহরে হবে খেলা। অন্তত দুই শহরে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
২০২৭ সালে নারী বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে। এশিয়া থেকে সরাসরি ৬টি দল ও আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে সুযোগ পেতে পারে আরও দুটি দল। সেমিফাইনাল ওঠা চার দল সরাসরি সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চার দলের সামনেও থাকবে সুযোগ। চার দল দুটি প্লে-ইন ম্যাচে মুখোমুখি হবে। জয়ী দুই দল পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের টিকিট। হেরে যাওয়া দুই দল যাবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে।
শুধু বিশ্বকাপ নয়, রয়েছে অলিম্পিকের হাতছানিও। ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল ২০২৮ অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইপর্ব খেলার সুযোগ পাবে। সেই বাছাইপর্বে দুই গ্রুপে দলগুলো বিভক্ত হয়ে খেলবে। দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকের নারী ফুটবলে সুযোগ পাবে।
এফপি/এমআই