একজন ১৭ বছরের কিশোর, অন্যজন ৪০ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননী। সম্পর্কে নাতি ও নানী। কিন্তু হৃদয়ের টানে তারা হয়ে উঠেছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। সমাজ যেটিকে ‘অসম’ কিংবা ‘অসামাজিক তিরস্কার করেছে, সেটিই তাদের কাছে ছিল ভালোবাসার বন্ধন।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাবরা গ্রামের এই দুই প্রেমিক-প্রেমিকার স্বপ্নভঙ্গ হলো বেরসিক সমাজ আর বাস্তবতার নির্মম আঘাতে।
সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তারা। আশ্রয় নিয়েছিলেন কুষ্টিয়ায়। সংসার গড়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন দুজনেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবে রূপ নিতে পারলো না।
গত রাতে কুষ্টিয়া থেকে তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। থানা প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুজনেই। কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ, আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন একে অপরকে।
তাসলিমা বারবার বলছিলেন- ‘ও ছাড়া আমি বাঁচবো না... ওকে কেড়ে নিও না আমার কাছ থেকে।’
আর কিশোর মেহেদীর কণ্ঠে করুণ আর্তি- ‘ওর হাতটা ধরেই তো জীবনটা শুরু করতে চেয়েছিলাম... এত তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলো সবাই।’
কিন্তু কান্না, আকুতি, ভালোবাসা- সবই ব্যর্থ হলো। পরিবারের চাপে পুলিশ জোর করেই তাদের আলাদা করে, আলাদা গাড়িতে তুলে দেয়।
এফপি/রাজ