ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক চা দোকানির স্ত্রী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে কুখ্যাত চাঁদাবাজ ও উচ্ছৃঙ্খল হিসেবে পরিচিত। পরিবারের দাবি, যথাযথ বিচার না পেলে তারা পরিবারসহ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব মোড়া গ্রামের জয়ন্ত বিশ্বাস ও তার স্ত্রী মিলে বাড়ির পাশে একটি চা ও মুদি দোকান চালান। দীর্ঘদিন ধরে কিছু যুবক দোকানে আড্ডা দেয়ার ছলে তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। দোকান মালিক উপস্থিত না থাকলে তারা বিভিন্ন সময় সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করত। গভীর রাতে তাদের দোকান সংলগ্ন বসতঘরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে, দরজা ও টিনের বেড়ায় বাড়ি দিয়া পালিয়ে যেত তারা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে উল্লেখিত লোকজন তার দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে জয়ন্ত বিশ্বাসকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন তার স্ত্রীকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বাইরে বের করে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।
অভিযুক্তরা হলেন- রেজাউল শিকদার, পিতা হোচেন শিকদার, পলাশ মোল্যা, পিতা মিঠু মোল্যা, আবু সাঈদ মোল্যা, পিতা আ. ওহাব মোল্যা, মিরাজুল মৃধা, পিতা হাসমত মৃধা, হাবিব মোল্যা, পিতা চুন্নু মোল্যা।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ‘আমি স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তারা আমাকে জোর করে টেনে নেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তারা ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায় এবং বলে- ৫০ হাজার টাকা না দিলে তালা খোলা হবে না।”
জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, “তারা অনেকদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে। আমার স্ত্রীর ওপর নজর ছিল তাদের। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সঠিক বিচার না পেলে আমি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করবো।”
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এফপি/রাজ