খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলভুক্ত ২টি ডিসিপ্লিনের ২২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।
ডিন’স অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের বিবিএ ২০ ব্যাচের ঋতুপর্ণা সাহা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৯), শেখ মুহাম্মদ তাহমিদ (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮১), এমবিএ প্রোগ্রামের ১৯ ব্যাচের শ্যামা ফলিয়া (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৪.০০), কাজী নিশাত ফারহা লোপা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৪), মো. ফাহমিদুল হক (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৩), ২০ ব্যাচের গায়ত্রী অদিতি মিত্র (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৪.০০), সৈয়দ শামীম হাসান (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৯), ২৩ ব্যাচের ফারহানা ইয়াসমিন (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৮), আব্দুল্লাহ তারিক (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮০), পূজা রায় (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৭৮), হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের বিবিএ ১৯ ব্যাচের সাব্বির আহমেদ (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৭), তামিমা হাসান তৈশি (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৭), জারিন রাফা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৯), নাতাশা শিকদার (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৮), ২০ ব্যাচের খাদিজা আক্তার রোশনি (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৯), আতকিয়া মায়শা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৭), এমবিএ ২০ ব্যাচের শেখ নিয়াজুর রহমান (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৭), ফারহানা আমিন কনা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯২), ২৩ ব্যাচের ব্রিতো রায় (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯১), নূর-ই-আলম সিদ্দিকী (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯১), রুকাইয়া আবিহা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৯) ও মো. মুবিনুল ইসলাম (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৭৬)।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য বলেন, পিতা-মাতা ও শিক্ষকরা সবসময় চান, তাঁদের সন্তান ও শিক্ষার্থীরা যেন তাঁদের চেয়ে আরও এগিয়ে যান, নিজেদের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের প্রতিনিধি হয়ে উঠুন। তাঁদের সেই স্বপ্নপূরণের পথে ডিন’স অ্যাওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি নিঃসন্দেহে বিশেষ কিছু- শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের জীবনের গৌরবময় স্মৃতি ও আজীবন অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যেসব ডিসিপ্লিন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, তার অন্যতম ছিল ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিন। শুরু থেকেই এ ডিসিপ্লিন তার সক্ষমতা প্রমাণ করে এসেছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনও ইতোমধ্যে নিজেদের মেধা, মনন ও কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে, যা তাদের সামগ্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখছে।
উপাচার্য শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রেজাল্টের মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করার জন্য ধারাবাহিকভাবে ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আগামীতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও বড় পরিসরে আয়োজনের আহ্বান জানান।
ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নূর আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. এস এম তৌহিদুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিন প্রধান মোঃ মেহেদী হাসান।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের এমবিএ ১৯ ব্যাচের মোঃ ফাহমিদুল হক, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের বিবিএ ১৯ ব্যাচের তামিমা হাসান তৈশি ও এমবিএ ইন এইচআরএম ২৩ ব্যাচের নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।
অভিভাবকদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের এমবিএ ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিনের পিতা গোলাম মোক্তাদির।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ এনামুল হক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ডিন, সংশ্লিষ্ট স্কুলভুক্ত ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/রাজ