আগামী ২৮ জুনের মধ্যে সিলেটের বিভাগের ৫টি পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য ও গণপরিবহনে কর্মবিরতি পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন-প্রতিবাদ সভায় এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
এসময় সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রপের সভাপতি নাজির আহমদ স্বপন ও সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২৮ জুন থেকে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী থেকে ৪৮ ঘন্টা লোড-আনলোডে কর্মবিরতি, ৩০ জুন থেকে সিলেট জেলা সকল পণ্যপরিবহনে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি ও ২ জুলাই থেকে সিলেট জেলায় সকল প্রকার পণ্য ও গণপরিবহনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হবে।
পরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের জিন্দাবাজার হয়ে সিটি পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
সিলেট বিভাগের ইজারা স্থগিতকৃত ৫টি পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়ার দাবিতে এবং ট্রাক শ্রমিকদের গাড়ি তল্লাশির নামে হয়রানি ও ক্রাশার মিল মালিকদের হয়রানি বন্ধ, ব্যবসার সুবর্ণ সুযোগ দিতে এবং বিদ্যুৎ এর মিটার পুণরায় ফেরত দেয়ার দাবীতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আব্দুল জলিল মেম্বারের সভাপতিত্বে ও ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শাব্বীর আহমদ ফয়েজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদি, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান সাদিক, সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজির আহমদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ খান সাদেক, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন সাহান, যুগ্ম সমন্বয়কারী মেজর আজিজ, মহানগর এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদ, ইসলামী আন্দোলন সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ রুহুল আমীন, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া, কার্যকরি সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী স্বপন, কোষাধ্যক্ষ জুরহাস হোসেন বাদল, নির্বহী সদস্য আলী আহমদ, দফতর সম্পাদক বিলাল হোসেন, সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, মুজিবুর রহমান, সুহেল রানা, নারায়ন পুকায়স্থ ফনি, কয়ছর আলী জালালী, মানছুর আলম, জাকির হোসেন তালুকদার, ফখর উদ্দিন, সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আবহায়ক শওকত আলী বাবুল, জাফলং বল্লাঘাট ষ্টোন ক্রাশার পাথর মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম পারভেজ, ইয়াসীন আলী, সিলেট সদর পাথর বালি ও ষ্টোন ক্রাশার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মন্তাজ আলী, মো. শানুর মিয়া, মুহিবুর রহমান সুলেমান, নাজিম উদ্দিন ইমরান মেম্বার, জয়নুল হক, মোজাম্মেল আলী সাদ্দাম, আব্দুল হক, সালুটিকর পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিলু মিয়া, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন, জাফলং ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ছমেদ মিয়া, শাহপরান থানা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবলা আহমদ, ক্রাশার মিল মালিক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম, পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিমুল ইসলাম আঙ্গুর, ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান, মামুন রশিদ, আব্দুস সামাদ, ইলিয়াস আলী, ক্রাশার মিল মালিক রফিকুল ইসলাম, বাবুল চেয়ারম্যান, আবু জাফর দুলন, জাফলং ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ, সামছুল হক, নাসির উদ্দিন, আলাল মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সাত্তার প্রমূখ।
এফপি/এমআই