বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার শেষ কৃত্য সম্পন্ন করার জন্য নির্ধারিত স্থান ‘শ্মশান ঘাট’ দখল করে বসতি নির্মাণ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সেরেস্তাদারবাড়ি এলাকার শ্মশানঘাটটি নিয়ে এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও শ্মশানের জমি দখলমুক্ত করার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা শ্মশানঘাট এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। একই সাথে তারা সাংবাদিক সম্মেলনও করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন উপজেলা সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপক কর্মকার, শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীম কর্মকার, সুমন মালি, সঞ্জিব পোদ্দার, জয়দেব রায়, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসিমা বেগম, খোকন শিকদার ও আশুতোষ শীল।
বক্তারা বলেন, কুবের চন্দ্র হালদার শ্মশানের জমিসহ সরকারি খাস সম্পত্তি দখলে নিয়ে সেখানে রাতারাতি ঘর তুলে পরে তা বিক্রি করে দেয়। তারা এ জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানান।
কুবের চন্দ্র হালদার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ১৯৯৫ সালে তার স্ত্রী সুনাতা রানী হালদারের নামে .২৬ শতক জমি ক্রয় করে মিউটেশন করে নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছেন। তিনি শ্মশানের জমি দখল করেননি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদরুদ্দোজা বলেন, সেরেস্তাদারবাড়ী এলাকার শ্মশানের জমির বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে কাগজপত্র ও প্রমাণ দাখিলের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/রাজ