যশোরের কেশবপুর উপজেলার জাহানপুর গ্রামে একদিনে হনুমানের কামড়ে ৬ জন আহত হয়ে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছে।
খাদ্যের অভাবে শহর ছেড়ে গ্রামে কালোমুখ হুনুমানের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। ক্ষুধার জ্বালায় তারা শহর ছেড়ে গ্রামে লোকালয় বসতবাড়িতে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভাবে মানুষের যন্ত্রণার কারণ হচ্ছে।
বুধবার রাতে এশার নামাজের সময়ে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামে প্রবেশ করে মানুষের বসত বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করে নববধূ, নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছে।
আলী হাসান জানান, একদল ক্ষুধার্ত হনুমান গত বুধবার রাতে এশার নামাজের সময়ে খাদ্যের সন্ধানে জাহানপুর গ্রামের সরদার সরদার পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে মানুষের উপরে আক্রমণ করলে প্রতিবেশীরা আতংকিত হয়ে দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। এসময় হনুমানের কামড়ে রেজাউল ইসলামে সদ্য বিবাহিত কন্যা সুমা (২০), মৃত নিছার আলী সরদারের স্ত্রী খুকুমণি (৫৫), আব্দুল মোমিন সরদারের পুত্র আনু সরদার (১৮), ইব্রাহিম সরদারের পুত্র মহসিন আলী (২৫), ও মহসিন আলীর স্ত্রী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ফজরের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় চাঁদ আলী সরদার (৭০) কে হনুমানে আক্রমণ করলে তিনি আহত অবস্থায় কেশবপুর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আহতরা জানান, হনুমানের জন্য সরকারি খাদ্য বরাদ্দ থাকলেও তাদের এলাকায় কখনো হনুমানের খাদ্য দেওয়া হয় না।
কেশবপুর উপজেলার সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, কালোমুখ হনুমানের কামড়ে আহত হয়ে গত বুধবার রাতে ৫ জন ও বৃহস্পতিবার সকালে ১ জন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছে। তাদের প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই।
এফপি/রাজ