কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাবেক এমপি জাফর আলমের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় পেকুয়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা ব্যানার ও পোস্টার হাতে জাফরের আমলের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।
জাফর আলমের ফাঁসির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি পেকুয়া বাজার থেকে বের হয়ে পেকুয়া এবং চৌমুহনীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনী উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে এসে মিলিত হয়। এ মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। সবার মুখে মুখে শুধু একটাই শব্দ,“জাফরের ফাঁসি চাই”।
পেকুয়া সদর পশ্চিম জোনের সভাপতি এম. শাহ নেওয়াজ আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ বেলাল হয়দার, জেট এম মোসলেম উদ্দিন, যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট, কৃষক দলের সভাপতি আবু ছিদ্দিক রনি, শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফরহাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আহসান উল্লাহ, মহিলা দলের সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন জিনুসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা সঠিক তদন্তের প্রেক্ষিতে স্বৈরাচারের রাতের ভোটের এমপি জাফর আলমের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, জাফর আলমকে সাতটি মামলায় মোট ১৮ দিনের দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সাথে পৃথক একটি মামলায় তাকে আরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত বুধবার সকালে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবির এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি চকরিয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চকরিয়া থানায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে জাফর আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পেকুয়া থানার একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ নিয়ে নতুন করে তিন দিনসহ মোট সাত দিনের রিমান্ডের জন্য গতকাল সকালে জাফর আলমকে পেকুয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এফপি/রাজ