টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে বর্ষায় নির্ঘুম রাত কাটে উখিয়ার রেজুখালের দুই পাড়ের ১০ হাজার মানুষের।
প্রতিবছর খালের দুকূল উপচে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, খালের ভাঙনে ভিটে-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার। চলতি বর্ষায় এর মধ্যে ৮-১০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে অন্যত্রে বসবাস করছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি ইতিপূর্বে খালের মাঝখানে পর্যন্ত বসতভিটা ছিলো। ভাঙ্গনের ফলে বর্তমানে শেষ আশ্রয়স্থল খালগর্ভে বিলীনের পথে।
সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক দশক ধরে ভাঙনের কবলে পড়ে অনেকেই জমি কিনে বসতি গড়েছেন বিভিন্ন এলাকায় বা সংরক্ষিত পাহাড়ে। এবারের বর্ষায় উপজেলার হলদিয়া পালংয়ের মনির মার্কেটসংলগ্ন এলাকা বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া কোর্টবাজার-সোনারপাড়া সৈকত সড়কটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে। এতে ব্যস্ততম সড়কটি বিলীন হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বর্ষাকালে ভাঙন শুরু হয় রেজুখালের দুইপাড়ে। ভাঙতে ভাঙতে খালে বিলীন হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় ঘর-বাড়িও। বর্ষায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বদলে রাত কাটে নির্ঘুম এবং আতঙ্কে। গত বর্ষায়ও একই দৃশ্য দেখা যায়। যার ফলে এবার টেকসই বেড়িবাঁধ না দিলে বসতবাড়ি ও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি খালগর্ভে বিলীন হয়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছে অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ। দুঃখ কষ্টের মাঝেও বসবাস করে টেকসই বাঁধ নির্মাণের অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।
বর্ষাকালে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার দাবি জানিয়ে স্থানীয়রা বাসিন্দা আব্দুল হক ও এম এইচ ভুট্টো বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সহ খালপাড়ের বাসিন্দাদের রক্ষা করতে টেকসই বাঁধ নির্মাণ জরুরী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে হাজার হাজার মানুষকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। গত রোববার স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/রাজ