কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র গোরকঘাটা চৌরাস্তার মোড়ে যানজট আর ফুটপাত দখলের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, রোগী কিংবা কক্সবাজারগামী যাত্রীরা। এতে পৌরবাসীসহ সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
অবশেষে দীর্ঘদিন পরে যানজট নিরসন ও ফুটপাত দখল উচ্ছেদ করতে এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেন মহেশখালী পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হেদায়েত উল্লাহ। তিনি গত সপ্তাহে পৌরসভার পক্ষ থেকে ২ জন ভলান্টিয়ার ট্রাফিক নিয়োগ দিয়ে যানযট নিরসন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি অবৈধভাবে যারা ফুটপাত দখল করে আছে তাদেরকে বুঝিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করেন। এতে ব্যবসায়ী ও চালকেরা সাড়া দিয়ে নিয়ম মেনে চলেছেন এবং তাতে যানজট নিরসন ও পৌরবাসীর ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যায়।
স্থানীয় ও পথচারীরা বলেন- মহেশখালীর চৌরাস্তার মোড়ে ফুটপাত দখল ও যতত্র গাড়ি পার্কিং এর ফলে প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগী, নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থীসহ কক্সবাজারে যাওয়া-আসার পথে হাজার হাজার যাত্রীদের। এসব ভোগান্তি রোধে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন উদ্যোগের কারণে দীর্ঘদিনের যানযটের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে গেছে। তবে আরও ২ জন্য ভলান্টিয়ার দিয়ে নিয়মিত তদারকি করলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি আরও কমে আসবে বলে জানান।
এদিকে চালকেরা জানান- হকারেরা ফুটপাত দখল করে রেখেছে এবং গাড়ি পার্কিংয়ের কোন জায়গা না থাকায় চৌরাস্তার মোড়ে যানযট লেগে থাকে। আমরাও চাই আইনের মধ্যে থেকেই গাড়ি চালাতে। তবে পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা করে দিতে হবে।
মহেশখালী পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়েত উল্লাহ বলেন- মহেশখালী পৌরসভার চৌরাস্তার মোড়ে যানজট কৃত্রিম সৃষ্টি। যানযট নিরসনে ২ জন ট্রাফিক ভলান্টিয়ার যুক্ত করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজন যুক্ত করে কার্যক্রম জোরদার করা হবে। এছাড়াও অনেকেই রাস্তার জায়গা দখল করে ছিলো, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ফুটপাত দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
এফপি/এমআই