অপ্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীদের হয়রানি করার পাশাপাশি প্রেসক্রিপশনের রিপোর্ট দেখানোর জন্য অতিরিক্ত ফি নেওয়া অনেকটা খুল্লাম খুল্লা। প্রায়শই অভিযোগ শোনা যায়, ডাক্তাররা অনেক সময় রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে বাধ্য করেন, যা রোগীদের জন্য আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ক একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। পোস্টে তিনি আক্ষেপ করে লিখেছেন “বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক অদ্ভুত ও অমানবিক প্রথা এখন নিত্যদিনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ভিজিটে ফি নেওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু সেই প্রেসক্রিপশনের রিপোর্ট দেখানোর জন্যও আলাদা ফি; কখনও ৮০০, কখনও ১০০০ টাকা-এটি কি নৈতিক?”
তিনি আরও লিখেছেন, “এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অপ্রয়োজনীয় টেস্টের বাণিজ্য। একটি রোগের কথা বললেই ৮–৯টি টেস্টের তালিকা, অনেক সময় সেগুলো নির্দিষ্ট ল্যাবে করানো বাধ্যতামূলক। এই সিন্ডিকেটে ডাক্তার ও হাসপাতাল উভয়েরই ভূমিকা রয়েছে।”
তিনি লিখেছেন, “কিছু ডাক্তার রিপোর্ট দেখার জন্য এক টাকা পর্যন্ত নেন না, রোগীকে সময় দিয়ে মনোযোগ সহকারে শোনেন। আবার অনেকেই প্রথম ভিজিট, রিপোর্ট ফি, কমিশন—সব মিলিয়ে রোগীর পকেট ফাঁকা করেন।”
তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে উদাহরণ টেনে লিখেছেন, “বিদেশে (যেমন আমেরিকায়) রোগীর রিপোর্ট সরাসরি ডাক্তারের কাছে যায়। সমস্যা থাকলে ডাক্তার ফোন করে জানান, সমস্যা না থাকলে পরবর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্টে আলোচনা হয়। কত সুন্দর ও মানবিক একটি সিস্টেম!”
আমাদের দেশে কেন এই প্রথা চালু করা যাবে না?
প্রয়োজন:
-অপ্রয়োজনীয় টেস্ট বন্ধ করা
-রিপোর্ট দেখানোর জন্য অতিরিক্ত ফি বাতিল
-মানবিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা
রোগী হিসেবে আমরা সচেতন হই, সময় দিয়ে যারা সেবা দেন, নৈতিকতার সঙ্গে চিকিৎসা করেন, তাদের কাছে যাই। সিন্ডিকেট-নির্ভর প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়াই।
প্রেসক্রিপশনের রিপোর্ট দেখানোর জন্য অতিরিক্ত ফি নেয়া অনৈতিক। সাধারণত ডাক্তারের পরামর্শ ফি-র মধ্যেই রিপোর্ট দেখা এবং ব্যবস্থাপত্র দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকে। যদি ডাক্তার শুধুমাত্র রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন, তাহলে সেই ক্ষেত্রে নতুন করে ফি নেয়া উচিত নয়।
এফপি/এমআই