ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নাকোবাড়িয়া ও তালিয়ান গ্রামে বিএনপির দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মোহাব্বত আলী (৬০) নামের এক ব্যাক্তি নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত মোহাব্বত আলী বিএনপি কর্মী ও নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হবিবার রহমানের ছেলে।
সংঘর্ষে আহতদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তির পর ইউনুচ আলী নামে অপর আরো একজনকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকাতে রেফার্ড করা হয়েছে।
রোববার ভোর থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় উপজেলার জামাল ইউনিয়নের দুটি গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ফোর্স ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থান করলেও পরিস্থিতি এখনো শান্ত হয়নি। সংঘর্ষে আহত অন্যান্যরা হলেন- নাকোবাড়িয়া গ্রামের ইউনুস আলী, রেজাউল ইসলাম, তোফাজ্জেল হোসেন, ছোট তালিয়ান গ্রামের রেফাজুল ইসলাম। আহতরা সবাই বিএনপি কর্মী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার নাকোবাড়িয়া ও তালিয়ান গ্রামে বিএনপির দুটি পক্ষের দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। সর্বশেষ একটি পক্ষ শনিবার সকালে দেশীও অস্ত্র নিয়ে তালিয়ান ও নাকোবাড়িয়া এলাকায় মহড়া দেয়। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মাঝে ছড়িয়ে পড়াতে এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এরই জের ধরে আজ রোববার ভোর রাত থেকে বিএনপির একটি পক্ষ অপর পক্ষের উপর হামলা চালায়। এরপর দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে শেরআলী মোম্বারের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ সংঘর্ষে আহত ৫ জনের মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় বিএনপি কর্মী মহব্বত আলীকে ঢাকাতে নেবার পথে ফরিদপুর পৌঁছালে তিনি মারা যায়। তার মরদেহ কালীগঞ্জে ফেরত আনা হচ্ছে। এদিকে আহতদের মধ্যে পরে ইউনুচ আলী নামে অপর আরো একজনকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। বাকীরা কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম এলাকায় টহল দিচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও হামিদুল ইসলাম হামিদ এর সমর্থক নেতা কর্মীরা দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে ওই সংঘর্ষে জড়ায়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসা ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, পুলিশ ফোর্স ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম নিয়ে তিনি এখনও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। দু’টি পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও জানান। সংঘর্ষে আটকের বিষয়ে বলেন, কয়েকজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে রাখা আছে। তারা এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এফপি/রাজ