কুষ্টিয়ার মিরপুরে জোর করে আটকে রেখে গুলি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ ও দোকানঘর লিখে নেওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাজল কুমার কুন্ডু নামের এক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী। সেই সাথে পুলিশ প্রশাসনকে জানালে মেয়ে-স্ত্রীকে গুমসহ বাড়ীতে হামলার হুমকি দিয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার পালপাড়ায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কাজল কুমার কুন্ডু। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী কাজল কুমার কুন্ডু মিরপুর পালপাড়া এলাকার মৃত কালাচাঁদ কুন্ডুর ছেলে।
কাজল কুমার কুন্ডু সাংবাদিক সম্মেলন এর মাধ্যমে বলেন, মিরপুর পৌরসভার পালপাড়া এলাকার রবিন আহমেদ রকি ও ফজলে রাব্বি স¤্রাট ব্যবসায়ের জন্য তুলে দেওয়ার কথা বলে গত ১১ মে ২০২৫ তারিখে তাকে পাবনার রূপকথা ইকো রিসোর্টে যেতে বলে। পরে সেখানে ভুক্তভোগী গেলে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে তার স্ত্রীর কাছে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে নগদ দুই লক্ষ টাকা আদায় করে। এসময় তাকে আটকে রেখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তার স্ত্রীর নিকট হতে একটি দোকান ঘর এর চুক্তিনামা লিখে নেয়। সেই সাথে বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে মেয়ে ও স্ত্রীকে গুম করে দিবে সেই সাথে বাড়ীতে বোমা হামলা করবে।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, কাজল নামে একজন দুপুরে মিরপুর থানায় এসেছিল। সে বলেছে তাকে লোন তুলে দেওয়ার কথা বলে রবিন ও সম্রাট দু’জন পাবনায় যেতে বলে। সেখানে গেলে একটি হোটেলে তাকে আটকে রেখে বিকাশের মাধ্যমে তারা ২ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু ঘটনাস্থল পাবনায় হওয়ার কারণে আমি তাকে আইনগত সহায়তা নেওয়ার জন্য পাবনায় যেতে বলি।
এছাড়াও ভুক্তভোগী স্বেচ্ছায় মিরপুর থেকে গিয়েছে। এ ঘটনা যদি মিরপুর থানার মধ্যে হতো তাহলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিতাম তবে এব্যাপারে তাকে যতটুকু সম্ভব সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এদিকে রবিন যুবদলের ওয়ার্ডের সভাপতি দাবি করে এলাকার বিভন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ করে এলাকাবাসী। সেই সাথে এলাকাবাসী রবিনসহ তার সহযোগিদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
এফপি/রাজ