জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার রাতভর রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেওয়ার পর আজ সকালেও সেখানে অবস্থান করছেন শতাধিক শিক্ষার্থী। দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
তিন দফা দাবি:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু।
২. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন ও বাস্তবায়ন।
বুধবার দুপুরে হাজারো শিক্ষার্থী পদযাত্রা শুরু করে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশ্যে। গুলিস্তান মাজার গেট এবং পরে মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পুলিশ টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হন।
রাতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা এই আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পরও শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন। তারা জানান, বেলা ১১টার পর সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে যুক্ত হবেন।
এদিকে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রশিবির ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর সমাধানের উদ্যোগ না নেওয়ায় উত্তেজনা বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তারা তাদের ন্যায্য দাবির বাস্তবায়ন দেখতে চান।
এফপি/রাজ