যশোরের কেশবপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জামাল বাহিনীর প্রধান জামালের (৩৮) বাড়িতে ধানের গোলার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হাত বোমার বিস্ফোরণে শাহানা বেগমসহ (৪৮) দুইজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাহানা বেগমকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার বলেছেন তার মুখ ও কপাল থেকে ৮টি বোমার স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। এখবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কেশবপুর থানা পুলিশ ও এলাকাবসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যকুল এলাকার গণি শেখের ছেলে, শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগের ক্যাডার সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লের পোষ্য বাহিনী জামালের বসত বাড়ির ধানের গোলার মধ্যে, ধান রাখার জন্য তাদের বাড়ির কাজের মহিলা শাহানা বেগম গোলার মধ্যে নামে। এসময় ধানের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ২টি বোমা তার পায়ে লাগে। এসময় সে বোমা দুইটি বের করে গোলার বাইরে ফেলে দেয়। তার মধ্যে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শাহানা বেগমসহ দুই মহিলা আহত হয়। এরমধ্যে শাহানাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজন প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে।
এসময় বিকট শব্দে এলাকার লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে। অন্য বোমাটি তার পরিবারের সদস্যরা পাশের হরিহর নদিতে ফেলে দেয় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
জামালের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় ও যশোর আদালতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সে কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র, সন্ত্রাসীদের গর্ড ফাদার রফিকুল ইসলাম মোড়লের বাহিনীর প্রধান ছিল।
জরুরি বিভাগের ডাঃ আখিরুজ্জামান বলেন, বোমায় আহত শাহানা বেগমের মুখমন্ডল থেকে ৮টি স্প্রিন্টার বের করা হয়েছে। সে বর্তমানে আশংকা মুক্ত। কেশবপুর থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, মধ্যকুল গ্রামের জামালের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এসময় বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। জামাল পালিয়ে থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এফপি/রাজ