গত ছয় মাসে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১০০ টন।
ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে চালের ঊর্ধ্বমুখীর কারণে চাহিদা আমদানি বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১৩ অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মোট চাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১০০ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ৮৪২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এদিকে বন্দর দিয়ে ব্যাপক আমদানির পাশাপাশি ভরা বোরো মৌসুমে নতুন চাল বাজারে, মিনিকেট ও আটাশ জাতের নতুন চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬১-৬২ টাকায়। এ সময় নতুন বাসমতী চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৮২ টাকা। এছাড়া মোটা জাতের নতুন চাল ৫১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সুলতানপুর বড় বাজারে পুরনো চাল প্রকারভেদে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবে শহরের চালতেতলা এলাকার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ও তপন রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী তপন কুমার সাহা জানান, নতুন চাল বাজারে আসার পর পাইকারি বাজারে কেজিতে ২-৩ টাকা দাম কমেছে।
সাতক্ষীরা জেলা সদরের মুনজিতপুর গ্রামের আমিনুর রহমান আলম জানান, চলতি মৌসুমে জেলার বোরো ধানের ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। একই সঙ্গে ভোমরা বন্দর দিয়েও প্রচুর পরিমাণ চাল আমদানি হচ্ছে। এর পরও চালের দাম উল্লেখযোগ্য কমেনি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৪-২৫ বোরো মৌসুমে জেলায় চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬ টন। আবাদ হয়েছে ৮০ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে। তিনি বলেন, এবার জেলায় ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এফপি/রাজ