নারী ঘটিত একটি বিষয়ের সালিশে ১৪ লাখ টাকা ও দুই লাখ টাকার চেক জোড় করে নেয়ার অপরাধে রংপুর সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলনকে গ্রেফতার করেছে সদর কোতয়ালী থানা পুলিশ।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর কোতয়ালী থানার ওসি অলিভ মাহমুদ। এর আগে দিবাগত রাতে পালিচড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নে ঢাকার ব্যবসায়ী রহমান মিয়া খামার ব্যবসা করেন। তিনি তার ঢাকার বাসায় সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের একটি মেয়েকে কাজের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। মেয়েটি বাড়ি ফিরে এলে আবার তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আসেন ব্যবসায়ী রহমান। মেয়েটির মুখ থেকে রহমান মিয়ার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের কথা বেরিয়ে আসে।
মেয়েটি জানায়, ঢাকার বাসায় তাঁর উপর রহমান মিয়া শারীরিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানী চালিয়েছিল। তাই সে আর ঢাকার বাসায় কাজে যাবে না। এতে স্থানীয় একটি সূত্র ক্ষিপ্ত হয়ে রহমান মিয়াকে মেয়েটির সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে মেয়েটির বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে ১৪ লাখ টাকা নগদ ও ২ লাখ টাকার চেক নেয়া হয়।
সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনারুল ইসলাম, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করেন। ২ লাখ টাকার চেকটি নিজের কাছে রাখেন সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন। মেয়েটির পরিবারকে দেয়া হয় ১১লাখ টাকা। ভাগবাটোয়ারা করা হয় কিছু টাকা। এই নিয়ে গোটা সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নে আলোচনার ঝড় উঠে। পরে ব্যবসায়ী রহমান মিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।
রংপুর সদর কোতয়ালী থানার ওসি অলিভ মাহমুদ জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা মাসুদার রহমান মিলনকে গ্রেফতার করার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এফপি/এমআই