জামালপুরের মাদারগঞ্জে চুরির মামলা করে বিপাকে পড়েছেন এক বাদী। আসামীরা আদালত থেকে জামিনে এসে বাদীর পরিবারের উপর ও বাড়িঘরে চালিয়েছেন হামলা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের চর বাজিতেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে করে চুরি মামলার বাদী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে উপস্থিত পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান তারা।
জানা গেছে, চরবাজিতেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফাহিমা বেগম। বাজিড়ের পাড়া মোড়ে দীর্ঘদিন থেকে চা বিক্রি করে চালান সংসার। দুই ছেলের জননী ফাহিমার বড় ছেলে ফারুক। ছেলে সিঙ্গাপুর যাবেন বলে সম্প্রতি ঘরে নগদ ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা রাখেন তিনি। ২৬ এপ্রিল চা বিক্রি শেষ করে রাত ৯.২০ মিনিটের দিকে ফাহিমা বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরে কয়েকজন লোক। এসময় তাদের ধরতে গেলে তার উপর হামলা করে পালিয়ে যান তারা। তিনি চিনতে পারেন লোকগুলোকে। তারা ছিলেন প্রতিবেশী সোলাইমান ওরফে লালন, হারুন, শহিদ ও মোজাম্মেল হক মোজা।
এ ঘটনায় গত ২৮ এপ্রিল তাদের নাম উল্লেখ করে চা বিক্রেতা ফাহিমা বেগম মাদারগঞ্জ মডেল থানায় টাকা চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামীরা গা ঢাকা দেন। ২৯ এপ্রিল আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আসামীরা বাদী ফাহিমা বেগমের ছেলে ফারুকের উপর হামলা করতে আসেন। ফারুক আত্মরক্ষার জন্য দৌঁড় দিলে প্রাণে বেঁচে যান।
এসময় আসামীদের বাধা দিতে গেলে ফারুকের সম্পর্কে বড় ভাই হাফিজুর ও হাফিজুর ও তার ছোট মেয়ে পূর্নিমা এবং মেয়ে জামাই নাইমকে মারধর করেন। এতে হাফিজুর এর ছোট মেয়ের পা রক্তাক্ত হয়। এ ছাড়াও হাফিজুর ও তার মেয়ে জামাই নাইমকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। শুধু তাদের মারধরেই তারা থেমে যাননি। ফাহিমা বেগমের ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাংচুর ও বিছানাপত্র তছনছ করা হয়।
খবর পেয়ে শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক ফিরোজ মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সরেজমিন গেলে বাদী ফাহিমা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে উপস্থিত পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে দোষীদের শাস্তি দাবি জানান।
ছেলে ফারুক বলেন, আমি বাড়ির ভেতর অবস্থান করছিলাম। আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করতে আসে। আমি প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও আমাদের লোকজনের উপর হামলা করা হয় ও আমাদের ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত শহিদ এর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি তা গ্রহণ করেননি।
শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক ফিরোজ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টির সত্যতা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করেছি।
এফপি/এমআই