যশোরের কেশবপুরে দৈনিক সাকালের সময় কেশবপুর প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক দেশজনতার কথা’র মফস্বল সম্পাদক, কেশবপুর উপজেলা খেলাঘর আসরের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক সোহেল পারভেজ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে কেশবপুর শহরের গাজীর মোড় চত্বরে সাপ্তাহিক দেশজনতার কথা’র আয়োজনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, কেশবপুর উপজেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকমল আলী, যুগ্ন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, মানব মন্ডল, সাংবাদিক সোহেল পারভেজ এর পিতা আলহাজ্ব শাহাদাৎ হোসেন প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার কেশবপুর প্রতিনিধি দিলিপ মোদক, দৈনিক সত্যপাঠ পত্রিকার প্রতিনিধি আবুবক্কার সিদ্দিক, দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার কেশবপুর প্রতিনিধি পরেশ দেবনাথ, সামাজিক সংগঠনের সদস্য নুরুল ইসলাম রিপন সহ বিভন্ন সংবাদ পত্রের প্রতিনিধি বৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক সোহেল পারভেজ এর উপর যে সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করেছিল তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক সাস্তির দাবী জানান।
বক্তারা আরও বলেন, সকল সাংবাদিক স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারে তার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন জানান।
উলেখ্য গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধায় মারধরের শিকার হয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক সোহেল পারভেজ হাসপাতালে বিছনায় কাতরাচ্ছেন। গত রোববার (২০ এপ্রিল) এ ঘটনায় সাংবাদিকের বাবা কেশবপুর থানায় ও সেনা ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়েও প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
অভিযুক্তরা প্রভাবশালী নেতা মঙ্গলকোট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ এর লোক হওয়ায় একাধিক অনিয়ম, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশ করার অপরাধে শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকার পাথরা বাজার মাশুকের চায়ের দোকান এর সামনে পেয়ে এলাকার ইমরান গাজী, তৈয়েবুর শেখ ওরফে তপু, শাহিন বিশ্বাস, সাদ্দাম বিশ্বাস ও ফারুক সরদার তার উপর চড়াও হয়। তিনি কেনো বিভিন্ন সময়ে খবর লেখেন এবং এলাকার একটি সালিশের বিষয়ে কেনো হস্তক্ষেপ করেছেন। এই কথার জবাব জানতে চেয়ে তার উপর হামলা করে বেধড়ক মারধর শুরু করে।
এসময় লাঠি ও রড হাতুড়ি দিয়ে তার ওপর হামলা করে। মারধরের এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিক রাস্তার উপরে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। সেখান থেকে তাকে টেনে হিচড়ে খেলার মাঠের মধ্যে নিয়ে যায় এবং আরও এক দফা মারধর করে ফেলে রেখে যায়।
সাংবাদিক সোহেল পারভেজ কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন জোয়ার্দারের বড় ছেলে। এ ঘটনায় সোহেল পারভেজ নিজে বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্স জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফপি/রাজ