কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলে মাদক সেবন করে রাতে ‘শৃঙ্খলা বিনষ্ট’ করার অভিযোগ উঠেছে রাফসান সামি নামক এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তিনি ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এই শিক্ষার্থীকে নেশাদ্রব্য সেবন করে হলের নিচ তলায় অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায় বলে ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান।
এ বিষয়ে হলে অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে ‘ব্যাবস্থাপনা শিক্ষা’ বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের ‘চৌধুরি রাফসান সামি’ হলে এসে ১০৬ নং রুমে লাথি দিতে থাকে এবং গালাগালি করতে থাকে৷ একসময় সে নীচতলায় থাকা সাইকেলগুলো ফেলে দেয় এবং ‘অগ্নিনির্বাপক গ্যাসের’ সিলিন্ডার ছুড়ে মারে ও স্প্রে করে ধোয়া ছড়িয়ে দেয়। এতে ১০৬ নং রুমে অবস্থানরত জুনিয়র শিক্ষার্থীরা ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাফসান বলেন, ‘আমি আমার ফ্রেন্ডদের সাথে দুষ্টামি করছিলাম। আমি ফায়ার এক্সটিংগুইশার আমার ফ্রেন্ডের উপর ছাড়সি। ১০৬ নং রুমে আমি লাথি মারসি কিনা আপনি পার্সোনালি গিয়ে জিজ্ঞেস করেন। হয়তোবা লাথি দেইনাই, ধাক্কা দিসি, দৌড়াদৌড়ি করছিলাম। আমার ফ্রেন্ড ধাক্কা দেয়াতে গ্যাস সিলিন্ডারটা ফেলে দিসি।’
এ বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন বলেন, ‘প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থীরা যদি কোন লিখিত অভিযোগ প্রদান করে তাহলে আমি এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারি। অভিযোগ পেলে আমি দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করবো। সিকিউরিটি গার্ডকে বারবার বলা হয় সে প্রায়ই এখানে একবার এসে আবার চলে যায়। ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না ঘটে সে বিষয়ে প্রশাসনের সাথে আলোচনা হবে।’
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মোহাম্মদ হাকিম বলেন, ‘হলের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। হলের সবকিছুর দায়িত্বে থাকেন প্রভোস্ট। প্রক্টর হলের ব্যাপারে মাথা ঘামাতে পারে না। প্রভোস্ট রিপোর্ট দিলে আমরা একশন নিতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে মাদক গ্রহণ করলে আমরা অবশ্যই এর শাস্তি প্রদান করবো। এটা যেহেতু হলের ভেতর হয়েছে হলের প্রভোস্ট এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে। আমি এখন জানলাম, আমি প্রভোস্টের সাথে কথা বলবো।’
এফপি/এমআই