পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্র, গ্রাহক হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে দালালদের সঙ্গে আনসার সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে।
দুদকের অভিযানে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন ও কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ নথিপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। বিশেষ সিলের মাধ্যমে ত্বরিত পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণ এবং অর্থ আদায়ের সুস্পষ্ট চিত্র উঠে এসেছে অভিযানে।
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা কৌশিক বিশ্বাস বলেন, ‘গতকাল সকাল থেকে বসে থেকেও কোনো সেবা পাইনি। দালালের সহযোগিতা নিইনি বলেই কাজ হয়নি। তবে দুদক আসার পরই আমার আগের ফরমটি গ্রহণ করে নেয়।’
পাবনা সদরের হাজিরহাটের গাফ্ফার হোসেন জানান, ‘১৪ দিন আগে আবেদন করেও ছবি তোলা হয়নি। সপ্তাহে তিন-চারদিন অফিসে গেলেও কাজ হয়নি। দালালের সঙ্গে গেলে দ্রুত কাজ হয়। এমনকি ঢাকার একজন দালাল ফোন করে ৮ হাজার টাকা দিয়ে রুম ১০২-তে যেতে বলেছে, তখন নাকি কোনো কাগজপত্র লাগবে না।’
দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ‘পাবনা পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম ও দালাল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দালাল-আনসার সদস্যদের যোগসাজশ, কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা ও বাইরের কম্পিউটার দোকান থেকে আসা নথির অগ্রাধিকার প্রদানের প্রমাণ মিলেছে। এমনকি একজন র্যাব সদস্যকেও হয়রানি করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, অভিযান চলমান রয়েছে, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আহসান উদ্দিন বলেন, ‘এখানে কোনো দালাল চক্র নেই। সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী চলছে। দুদক তদন্ত করছে, আমরা সহযোগিতা করছি।’
এফপি/রাজ