যশোরের কেশবপুরের মাদরাসার শিক্ষার্থীকে অপহরণের দায়ে মতিয়ার রহমান মতি নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত।
বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম কবির এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত মতি কেশবপুরের লক্ষীনাথকাটি গ্রামের মাঝেরপাড়ার হাচেন আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা।
মামলা অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামের মতিয়ার রহমান মতি বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে প্রেমের ও বিয়ের প্রস্তাব দিতো। রাজী না হওয়ায় মতি তাকে উক্ত্যক্ত করতো। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে বের হয়ে একই এলাকায় মনিরুজ্জামান মনিরের নতুন বউ দেখতে যাচ্ছিলো।
পথিমধ্যে লক্ষীনাথকাটি গ্রামের আহাদের দোকানের সামনে পৌঁছালে মতিসহ অপরিচিত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ৯ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর মা অপহরণের অভিযোগে মতিকে আসামি করে কেশবপুর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে কোতয়ালি থানা পুলিশের সহযোগিতায় যশোর শহরতলীর শেখহাটির একটি বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও মতিকে আটক করে পুলিশ।
এ মামলার তদন্ত শেষে উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থী ও আটক আসামির বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি মতিকে অভিযুক্ত করে ২৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুপ্রভাত মন্ডল। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি মতির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মতি জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছে।
এফপি/রাজ