চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীর স্বজনদের পাল্টাপাল্টি মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাতে রহনপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হারুন মাসুদকে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের আনারপুর গ্রামের রাবজুল হক নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধকে মুমূর্ষু অবস্থায় শনিবার রাত ১০টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে স্বজনরা। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: হাবিবা সুলতানা হ্যাপি তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এসময় তিনি জরুরি বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হারুন মাসুদকে রোগীকে ইনজেকশন দিয়ে দ্রুত ছেড়ে দিতে বলেন। তবে স্বাস্থ্যকর্মী হারুন আরও কিছু রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই রোগীকে ইনজেকশন দিতে বিলম্ব হয়। এরই মধ্যে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মৃত রোগীর ছেলে শহিদুল ও রবিউল ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে বেদম মারধর করে। পরে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারী ও বহিরাগতরা রোগীর দুই ছেলেকে মারধর ও আটকে রাখে। খবর পেয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন লিংকন, পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্যকর্মীকে উদ্ধার ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন লিংকন জানান, হাসপাতালে গন্ডগোলের খবর পেয়ে আমি দ্রুত ছুটে আসি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসায় কোন অবহেলা করেনি। তাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠনের সভাপতি মেসবাহুল হক। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এদিকে, হাসপাতালে সংঘটিত রাতের ঘটনায় থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি বলে জানান ওসি রইসউদ্দিন।
এফপি/রাজ