কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করাসহ ছয় দফা দাবিতে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ১০টা থেকে পাবনা টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:
১. অবৈধভাবে নিয়োজিত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে জুনিয়র পোস্টে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ বন্ধ করা
২. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মূল্যায়ন করা
৩. শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য দূর করে উপযুক্ত চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান
৪. টেকনিক্যাল বোর্ড, পলিটেকনিক পরিচালনা পর্ষদে প্রকৃত কারিগরি ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি
৫. ডিপ্লোমা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বাজেট বৃদ্ধি
৬. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সম্মানজনক সামাজিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা
শিক্ষার্থীরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকেন। কয়েক ঘণ্টা অবরোধ চলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে এবং শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এতে অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা শিক্ষিত হয়েও বেকার। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আমাদের চাকরির পথ রুদ্ধ হচ্ছে। তাই আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নেমেছি। কিন্তু আমাদের উপর গুলি চালানো হয়েছে।”
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো।”
ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ। তারা জানিয়েছে, দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে দেশব্যাপী আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এফপি/রাজ