কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ আরিফ (২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
গত ১১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার রাজাখালী ইউপির নতুন ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
অভিযুক্ত মোঃ আরিফ একই এলাকার কবির হোসেন প্রকাশ নুদামাঝির ছেলে বলে জানা গেছে।
ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানায়, প্রতিবেশি নুরুল হুদার ছেলে আরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসলেও সে রাজি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আরিফ ভিকটিম কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকার শুনে পিতা-মাতা এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে আরিফকে হাতেনাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।
কিশোরীর পিতা বাদশাহ মিয়া বলেন, সর্দার রফিক আলম পরদিন সকালে বিচারের কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং জানান, আরিফ পালিয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, সর্দার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। আমার তিন মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। আমি মেয়ে ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন শহিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং ভিকটিমের পরিবারকে ধর্ষণের মামলা করতে থানায় যেতে বলেছি। ভিকটিমের পিতা একজন দিনমজুর এবং অত্যন্ত গরিব। ঘটনাটি খুব অমানবিক হয়েছে। তার একে একে ৩টি মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী।
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম টমটম চালক বলে জানা গেছ। তার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, দু’পক্ষের সম্মতিতে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার পরে তা মেনে নেয়নি। আরিফকে আমার জিম্মায় ছাড়া হয়নি। সিরাজুল ইসলাম নামের ভিকটিমের আত্মীয় আরিফকে ঘটনার দিন রাতে ছেড়ে দিয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংস করা যায় কি না জানতে চাইলে রফিক আলম বলেন, এ ধরণের অনেক ঘটনা আমরা স্থানীয়ভাবে আগেও নিষ্পত্তি করেছি। সে লক্ষে সমাধান করার চেষ্টা করছিলাম।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এফপি/রাজ