পাবনার বেড়া উপজেলায় ঘরে ঢুকে রহিমা খাতুন (৯০) নামের এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার হাটুরিয়া–নাকালিয়া ইউনিয়নের নতুন পেঁচাকোলা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা খাতুন ওই গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী। তিনি পাঁচ মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তানের জননী ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের আজানের সময় গলা কাটা অবস্থায় রক্তাক্ত হয়ে রহিমা খাতুন নিজ বাড়ি থেকে চিৎকার করতে করতে পাশের প্রতিবেশী আব্দুল হানিফের বাড়িতে পৌঁছে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুর্বৃত্তরা রহিমা খাতুনের গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার লুটের সময় তিনি দুর্বৃত্তদের চিনে ফেলায় তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে বেড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এফপি/জেএস