শেরপুরের নকলায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস- ২০২৫ উপলক্ষে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কর্মস্থলে ডায়াবেটিস সচেতনতা গড়ে তুলুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির যৌথ আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা’র অফিস কক্ষে তাঁর সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালি ও আলোচনা সভায় মেডিকেল অফিসার (ডিজিস কন্ট্রোল) ডা. মালিহা নুঝাত, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির এরিয়া ম্যানেজার মো. আল আমিন, প্রধান অফিস সহকারী আবু তারেক মুহাম্মদ মোতাচ্ছিম বিল্লাহ, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সারোয়ার হোসেন, ফার্মাসিস্ট মোশাররফ হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) আব্দুর রহিম, ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম অফিসার মো. মোজাহারুল হান্নান, ক্যাশিয়ার শফিকুল ইসলাম, নার্সিং সুপার ভাইজার রিনা বেগম, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির কর্মসূচি সংগঠক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, নার্স, পরিসংখ্যানবিদ, স্বাস্থ্য সহকারীগন ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশে মহামারী আকারে ডায়াবেটিস ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়াবেটিস এমন এক রোগ, যার প্রধান চিকিৎসা স্বাস্থ্য শিক্ষা। যথাযথ স্বাস্থ্য শিক্ষা পেলে যেকোন ডায়াবেটিস রোগী চিকিৎসকের ওপর নির্ভর না করেও দীর্ঘদিন ভালোভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তারা বলেন ‘শতকরা ৭০ ভাগ ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সচেতনতা জরুরি। ইচ্ছে থাকলেই প্রতিরোধ সম্ভব। ডায়াবেটিস কেন হয় এই বিষয়টা যদি জনগন বুঝতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’ তারা জানান, অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে, ফলে ডায়াবেটিস মহামারী আকার ধারণ করছে।
দেশে যে হারে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছে তাতে আমাদের এখনই এ রোগ প্রতিরোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আর যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েগেছেন, তাদের অধিকতর সচেতন থাকতে হবে। যাতে সবাই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে পারেন বা নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মঠ জীবনযাপন করতে পারেন। বক্তারা আরো জানান, জীবনযাত্রার রুটিন ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং কায়িক পরিশ্রমের অভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিন দিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই প্রতিটি মানুষকে জীবনযাত্রার রুটিন ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং শারীরিক পরিশ্রম করা জরুরি বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।
এফপি/অ