রংপুরের পীরগাছায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধু ইয়াসমিন নাহার কাকলী হত্যায় জড়িত স্বামী ও অন্য আসামীদের গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও কয়েক শতাধিক এলাকাবাসী।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালের হাট বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে কান্দি ইউনিয়নের রাজনৈতিক দলের নেতা, তালুক কান্দি, তালের হাটসহ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহন করেন। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি সাহেব উদ্দিন মৃধা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঈসা মিয়া, ইউপি সদস্য রাজেক বেগ, বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলা ইসলাম ভুট্টু, সমাজসেবক আতাউর রহমান, মহিলা নেত্রী রুপসা বেগম ও নিহতের পিতা ইলিয়াস আলী খাঁন।
বক্তাগণ বলেন, একটি চাঞ্চল্যকর হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। উল্টো আসামীরা প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ ধরনের একটি হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীরা ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ ধরছে না। পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে কান্দি ইউনিয়নে বড় আকারে মানববন্ধন, পীরগাছা থানা ও এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচী দেয়া হবে। এসময় নিহতের ছোট্ট শিশুও মানববন্ধনে ফেষ্টুন হাতে দাঁড়িয়ে মা হত্যার বিচার চান।
জানা গেছে, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালুক কান্দি গ্রামের ইলিয়াস আলী খাঁনের মেয়ে ইয়াসমিন নাহার কাকলির সঙ্গে একই গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার ছেলে আবু রায়হানের প্রায় ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে।
স্বামী আবু রায়হান পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ায় স্ত্রী কাকলী এতে বাঁধা দেন। এ নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে স্বামীসহ তার বাড়ির লোকজন ইয়াসমিন নাহার কাকলীকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ তার নিজ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের পিতা স্বাক্ষীগণের সহায়তায় তার মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন এবং থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ঘটনার পর আমরা এজাহার নামীয় একজনকে গ্রেফতার করেছি। মূল আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবুও ফরেনসিক রিপোর্ট না এলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না।
এফপি/অ