শিরোনাম: |
রংপুরের পীরগাছায় একে একে চুরি হয়ে যাচ্ছে ইটভাটার খুঁটিতে লাগানো বিদ্যুতের ট্রান্সর্ফামার। ভাটার নৈশ্য প্রহরীকে বেঁধে রেখে এসব ট্রান্সর্ফামার খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভিতরের তামার কয়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও উপজেলার সদরের একটি ইটভাটা থেকে ৩টি ট্রান্সর্ফামার খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে করে ভোগান্তি আর চরম আতংকে রয়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন সংশ্লিষ্ট ইটভাটা মালিকরা।
জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলায় গত ১ মাসে ১২টি বিদ্যুতের ট্রান্সর্ফামার চুরি হয়েছে। উপজেলার পারুল ইউনিয়নেও কড়াবাড়ী মোড় মেসার্স মিতা ব্রিকস ইটভাটার ৩টি, পার্শ্ববর্তী মনুর ছড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পানি সেচের কাজে ব্যবহৃত ২টি, পীরগাছা সদর ইউনিয়নের কতমতলী নামক স্থানে মেসার্স এসএব্রিকস এর ৩টি, কালিঘঞ্জএলাকারএকটিআবাসিকবাড়িরএকটিএবংগতকালবৃহস্পতিবারউপজেলারসদরের মেসার্স জুঁইব্রিকসনামেইটভাটা থেকে ৩টি ট্রান্সর্ফামারখুঁলেনিয়েযায়। প্রতিটিইটভাটার নৈশ্য প্রহরীকে বেঁধে রেখে এসব ট্রান্সর্ফামার খুলে ভিতরের তামার কয়েল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার প্রতিটি ট্রান্সর্ফামারের মুল্য ৯০ হাজার টাকা করে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে। ফলে ওই ইট ভাটা গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
মেসার্স জুঁইব্রিকসইটভাটার নৈশ্য প্রহরীআইদুলইসলাম (৫০) বলেন, রাত ৩ টারদিকে ১০ থেকে ১২ জন লোক মোটরসাইকেল যোগেএসেআমার ও পার্শ্ববর্তীরাশেদ নামে এক অর্ধ পাগলযুবককেহাত-পা ও মুখ বেঁধেভাটারচিমনিরনিচে ফেলেরাখে। পরেতারাবিদ্যুতেরখুঁটি থেকে ৩টি ট্রান্সর্ফামারখুলেতামারকয়েল বেরকরেনিয়েযায়। একই কায়দায়বাকিগুলোওনিয়েযাওয়াহয়েছেবলেজানানসংশ্লিষ্টভাটারমালিকরা।
মিতা ইটভাটার নৈশ্য প্রহরী হোসেনআলীবলেন, মুখোশধারী ৫-৬জন লোকহাত-পা বেঁধেঘরেরাখে। সকালবেলা স্থানীয়লোকজনেরসহায়তায়ছাড়াপাই।তবেট্রান্সফরমারের ভেতরেরতামারকয়েলনিয়েবাকি অংশ ফেলেচলেযায় চোর চক্র।
মেসার্স জুঁই ব্রিকস ইটভাটার ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, সব চুরিই একই ধরনের। যারা এসব চুরি করছে, তাঁরা বিদ্যুতের কাজে অভিজ্ঞ। এছাড়া এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ অন্য কেউ করতে পারবেনা।
জানতে চাইলে উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রনজু বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানো থেকেও চুরি হয়েছে। সিসি ক্যামেরার সরঞ্জামও খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা মামলা দায়ের করেছি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রংপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন ঠিকাদারের লোকজন বাড়িতে এসে এ ধরনের কাজ করছে। যার অধিকাংশের বাড়ি পীরগাছা উপজেলায়। তামার কয়েলের দাম বেশি হওয়ায় তাঁরা শুধু কয়েল খুলে নিয়ে যাচ্ছে। চুরি হওয়া এসব ট্রান্সর্ফামারের ৯টি গ্রাহকের ক্রয় করা। বাকি তিনটি বিদ্যুৎঅফিসের।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া বলেন, এবিষয়ে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফপি/অআ