কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামে রাতে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এসময় বাড়ির অন্যান্যদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোক এগিয়ে এসে ডাকাতদলের ৩ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে রোকনের নেতৃত্বে হরিনাকুন্ডু উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুর মন্ডল (৩২) একই উপজেলার বৈঠাপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন সর্দারের ছেলে রানা হোসেন (২৩), ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের ওবায়দুল মন্ডলের ছেলে তুষার আহাম্মেদ সাকিব (২১) একই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে তৌহিদ হোসেন (১৮), মহামায়া গ্রামের কুরবান আলী, একই গ্রামের তরিকুল ইসলাম (৩৮) সহ ৮ জন সশস্ত্র ডাকাত বেজপাড়া গ্রামের বজলুর করিমের বাড়িতে হানা দেয়।
তারা বজলুর করিমের স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার গৃহ থেকে প্রায় ২০ লক্ষাধিক মূল্যের স্বর্ণের চেইন, কানের দুল এবং মেয়ের একটি সীতা হার নেকলেস ও আংটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় রিজিয়া বেগম ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করেন এবং ডাক-চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। তার আর্তচিৎকারে গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসে ডাকাতদলের পিছু ধাওয়া করে শাহাবুর মন্ডল, রানা হোসেন ও তুষার আহাম্মেদ সাকিবকে আটক করেন। অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ডাকাতদলের সদস্যদের মধ্যে তুষার আহাম্মেদ সাকিব এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছে ও রানা মালয়েশিয়া ফেরত।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। পরবর্তীতে এএসপি (সার্কেল) সহ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে ডাকাতদের জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়নি।
এফপি/অআ