কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এবারই প্রথম এ দিবসটিকে স্থানীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে পালন করা হলো।
দিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলা ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডের আহ্বয়াক আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালের বিভিন্ন বিষয়ে স্মৃতিচারণ করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চিলমারীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চিলমারীর ভূমিকাকে দীর্ঘদিন অবহেলা করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর চিলমারী হানাদারমুক্ত হলেও দিনটি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়নি। এবার প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপিত হওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি তৈরি হয়েছে।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার বলেন,‘আজ আমাদের জীবনের মাহেন্দ্রক্ষণ। বহুদিনের দাবি ছিল চিলমারীতে হানাদারমুক্ত দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে পালনের, অবশেষে সেই দিন এসেছে। ভবিষ্যতেও এ কর্মসূচি নিয়মিত পালিত হবে বলে আমরা আশা করি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। চিলমারীর বীরত্বগাথা জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত করতে প্রশাসন কাজ করবে।’
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান সরকার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য সচিব আব্দুল হাই প্রমূখ।
এ ছাড়া দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মানুষ জানান, এতদিন পর দিবসটি উদযাপিত হওয়ায় চিলমারীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার নতুন সুযোগ তৈরি হলো।
এফপি/অ