ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন। সরকারি হাসপাতালের এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় গর্ভবতী নারীরা। সময় মতো চিকিৎসা না পেয়ে তাদের ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে, যেখানে একদিকে আকাশছোঁয়া খরচ, অন্যদিকে মা ও শিশুর জীবন চরম ঝুঁকির মুখে!
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ এবং গাইনি চিকিৎসকের মারাত্মক অভাবই এই সংকটের মূল কারণ। অথচ হাসপাতালের অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় সেগুলো শুধু শোভাবর্ধন করে পড়ে আছে।
রোগীদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “সরকারি হাসপাতালেই যদি আমরা চিকিৎসা না পাই, তাহলে গরীব মানুষ যাবে কোথায়? ডাক্তার না থাকলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবন আরও বিপদে পড়বে।”
দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলায় রোগীদের বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসকের অপ্রতুলতা এবং উচ্চ চিকিৎসা খরচ তাদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। এই অবহেলার কারণে যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যার দায় কে নেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও এই সংকটের দ্রুত সমাধান চাইছে। তারা আশা করছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে শৈলকুপার প্রসূতিদের জন্য জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।
এফপি/রাজ