দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে ৪টি আসন বহালের দাবিতে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা নির্বাচন অফিসের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এ কর্মসূচি চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সর্বদলীয় সম্মিলিতি কমিটির নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান গেট ঘিরে রেখেছেন। ফলে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে প্রবেশ করতে পারছিল না।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাগেরহাটের ৪টি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন ঘোষণা করে প্রকাশ করা নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা বলছেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গোৎসবের কারণে হরতালের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে নির্বাচন অফিস ঘেরাও থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে আন্দোলন চলবে।
কমিটির সদস্য সচিব ও জামায়েতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, দুর্গোৎসব, ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আমরা হরতালের কর্মসূচি আপাতত বাতিল করেছি। উচ্চ আদালত ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাব। যতদিন আমরা চারটি আসন ফিরে না পাব, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এই নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই বাগেরহাটের ৪টি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটের বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণ মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাটের ৩টি সংসদীয় আসন যেভাবে বিন্যাস করা হয়েছে- বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
এফপি/অআ