ঘোড়াঘাটে বিশেষ ক্লাসের নামে এমপিও ভুক্ত বিদ্যালয়েই কোচিং সিন্ডিকেট এই শিরোনামের প্রতিবেদনে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ধীরাজ সরকার বলেন, “বিদ্যালয়ে কোচিং বা টাকার বিনিময়ে বিশেষ ক্লাস নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদুল ইসলাম সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একটি সংবাদ সম্মেলন করে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যা টাকার বিনিময়ে কিছু ভূঁইফোঁড় সাংবাদিক বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে। কিন্তু তার সংবাদ সম্মেলন ছিলো মূলত আত্মপক্ষ সমর্থনের একটি অভিনয়, যা জনমনে আরও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
প্রধান শিক্ষক দাবি করেন—"বিদ্যালয়ে কোনো কোচিং বাণিজ্য নেই।" অথচ একই সঙ্গে তিনি আবার স্বীকার করেন—"অভিভাবক ও কমিটির রেজুলেশনের ভিত্তিতে অতিরিক্ত ক্লাস দেওয়া হয়।" প্রশ্ন উঠেছে—যদি অতিরিক্ত ক্লাস হয়, তবে কেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসে ৩০০–৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে? সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শ্রেণিকক্ষে এই অর্থ বাণিজ্য কীভাবে বৈধ হয়?
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন প্রকাশের পর ঘোড়াঘাট উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ধীরাজ সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বিদ্যালয়ে কোচিং বা টাকার বিনিময়ে বিশেষ ক্লাস নিতে পারে"
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু সচেতন মহল বলছে, “একজন সাংবাদিক অনিয়মের সত্যতা তুলে ধরলে তাকে দোষারোপ করা মানে হলো অপরাধ ঢাকার চেষ্টা। সাংবাদিককে আক্রমণ না করে অনিয়মের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত ছিল।”
স্থানীয় জনমতের দাবি—সংবাদ সম্মেলনের নাটক দিয়ে সত্য আড়াল করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
এফপি/অআ